সুনামগঞ্জ , বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫ , ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক : ভেস্তে গেছে চার লেন প্রকল্প জামালগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অব্যবস্থাপনা ও অনিয়মের প্রতিবাদে মানববন্ধন ইরা-সিআরইএ প্রকল্পের ‘অভিযোজন এক্সপো’ সম্পন্ন কাজের খোঁজে গ্রামাঞ্চলের দিনমজুররা শহরমুখী প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই শিল্পপণ্য মেলার আয়োজন! লক্ষাধিক মানুষের সড়ক যেন ডোবা-নালা তাহিরপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০ র‌্যাবের অভিযানে ভারতীয় ২৭২ বোতল মদ জব্দ যারা নির্বাচনের বিরোধিতা করছে তারা দেশের শত্রু : কয়ছর এম আহমদ প্রশাসনের পূর্ণাঙ্গ তালিকা থেকে গায়েব জেলার বহু খাল নির্বাচনের জন্য বিএনপি পুরোপুরি প্রস্তুত : কয়ছর এম আহমদ বিশ্বম্ভরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত শান্তিগঞ্জে ফুটবল খেলা নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৪০ দেশ যেন মৌলবাদের অভয়ারণ্য না হয় : তারেক রহমান সত্যশব্দের বর্ষার আয়োজন ‘বাদল গেছে টুটি’ দিরাই থানা ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন ইউকের ফ্যামিলি গ্যাদারিং অনুষ্ঠিত জনগণের ভোগান্তি কমিয়ে দ্রুত সেবা নিশ্চিত করতে হবে নির্বাচন সুষ্ঠু হলে বিএনপি সরকার গঠন করবে : কয়ছর এম আহমেদ জামালগঞ্জে উড়ালসড়ক প্রকল্প পরিদর্শনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা তাহিরপুরে তোপের মুখে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা

স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ৪২ কর্মীর বেতন আটকানোর অভিযোগ

  • আপলোড সময় : ০৪-১১-২০২৪ ০৯:৪৪:৪৪ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৪-১১-২০২৪ ০৯:৪৪:৪৪ পূর্বাহ্ন
স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ৪২ কর্মীর বেতন আটকানোর অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার :: ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে প্রতি স্বাস্থ্যকর্মীর ৩/৪ মাস করে বেতন আটকে রেখেছেন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ শরীফুল আবেদীন কমল। ব্যক্তিগত ক্ষমতা বলে তিনি ৩ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে একাধিকবার বিনা কারণে শোকজও করেছেন। ফলে বেতন না পেয়ে নতুন ও পুরাতন মিলে ৪২ জন স্বাস্থ্যকর্মী মানবেতর জীবনযাপন করছেন। রবিবার বিকেলে সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিযোগ করেন কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মী। এ সময় ভুক্তভোগীরা জানান, তারা সদর উপজেলার কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে বিভিন্ন পদে কর্মরত রয়েছেন। তারা স্বাস্থ্য সহকারী, স্বাস্থ্যকর্মী ও সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক পদে এবং স্বাস্থ্য পরিদর্শক পদে স্বাস্থ্যকর্মীরা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন এবং বেতনও পেয়ে আসছিলেন তারা। কিন্তু সরকার পরিবর্তনের পর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা বিভিন্নভাবে তথ্য উদঘাটন করেন এবং সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ শরীফুল আবেদীন কমলের বিরুদ্ধে কয়েকটি পত্রিকায় বিপুল পরিমাণ অর্থ কেলেঙ্কারির সংবাদ ছাপা হয়। তখন তিনি স্বাস্থ্যকর্মীদের সন্দেহ করেন এবং পরবর্তীতে তাদের বেতন দেয়া বন্ধ রাখেন। এতে পরিবার-পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লাপাড়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের স্বাস্থ্যকর্মী শহীদুল কবীর জানান, আমরা দায়িত্ব পালন করে আসছি সঠিকভাবে। কিন্তু সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ শরীফুল আবেদীন কমল স্যার কেন যেন আমাকে শোকজ করেছেন তা আমি বোধগম্য নই। আমি প্রায় তিন মাসের বেতন পাচ্ছি না। এতে ঘর-সংসারের খরচ নিয়ে বিপাকে পড়েছি। জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের স্বাস্থ্যকর্মী ফরিদুল ইসলাম বলেন, সরকার পরিবর্তনের পর ডা. মোহাম্মদ শরীফুল আবেদীন কমল স্যারের বিরুদ্ধে সংবাদ ছাপা হয়েছে কয়েকটি পত্রিকায়। এ সময় স্যারের সাথে ভাল স¤পর্ক থাকার পরও তিনি সন্দেহ করেছেন আমাদেরকে। পরে আমাকে বিনা কারণে শোকজ করেছেন তিনি। এতে আমার প্রায় ৪ মাস ধরে বেতন দেয়া বন্ধ করে রেখেছেন। আমি খুবই কষ্টের মধ্যে জীবনযাপন করছি। মোহনপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের স্বাস্থ্যকর্মী রাখু চৌধুরী বলেন, আমাদের বেতন বন্ধ থাকায় পরিবারের খরচ যোগান নিয়ে সংকটে পড়েছি। আমাদের বেতন দেওয়ার দাবি জানাই। অভিযোগের বিষয়ে জানতে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ শরীফুল আবেদীন কমলের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি। জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যকর্মীদের বেতন বন্ধ থাকার বিষয়টি আমি জানি। এই বিষয়টি চলে গেছে আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে। আমি আশা করছি, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান হবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স